ইনামুল হক,নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈদের আরো ৫ থেকে ৬ দিন মতো সময় বাকী। এরই মধ্যে জমে উঠেছে মনিরামপুর ঈদ বাজার। ছোট খাটো দোকান থেকে শুরু করে অভিজাত বিপনীবিতান গুলোতেও উৎসবমুখর পরিবেশ। জাঁকজমক করেই সাজানো হয়েছে কিছু শপিং মল। ক্রেতারাও কেনাকাটায় পিছিয়ে নেই। রমজানের শুরু থেকেই বাহারি রং ও ডিজাইনের পোশাকে ভরে উঠেছে শপিং সেন্টার, শোরুমগুলো।

  • ঈদে ছেলেদের পাঞ্জাবি, মেয়েদের চাই থ্রিপিস, শাড়ি, চুড়ি। এগুলো দিয়েই শুরু হয়েছে শপিং সেন্টারের মার্কেটগুলো। মনিরামপুর কাপুরিয়াপট্টি, হাজী মার্কেট, আবির সুপারমার্কেট, গাজী মার্কেট, হামিদা কমম্প্লেক্স, ফ্যাশন ক্লাব, মার্কেট থেকে শুরু করে মনিরামপুর বাজারের অলি গলি চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটা।

রবিবার ( ১৬ এপ্রিল ) সরেজমিনে একাধিক মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বাহারি রঙের বৈচিত্র্যময় পোশাকে দোকানগুলো সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একেক পোশাকের একেক নাম দেওয়া হয়েছে। ক্রেতাদের বেশিরভাগই কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী।

শিশু শিক্ষার্থী বায়েজিদ বোস্তামির সাথে কথা হলে সে জানায়, ঈদে নতুন পোশাক কিনে সে ব্যাপক খুশি। নিজের পছন্দ মতো পোষাক পেয়ে আনন্দিত ও উৎফুল্লিত।

মনিরামপুর শহরের বাসিন্দা শারমিন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মার্কেটগুলোতে দোকানীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের। ফলে বেশি দামেই পোষাক কিনতে হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, রমজানের শুরুতে বেচাকেনার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ভেবেছিলাম এবার পোশাকের বেচাকেনা খুব একটা ভালো হবে না। দোকানদারদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা দেখা গিয়েছিল। ১০ রোজার পর থেকে সে হতাশা কেটে গেছে। এখন বেচাকেনা খুব ভালো হচ্ছে। চার-পাঁচদিন হলো বাজারে ভিড় বেড়েছে। এখন শিশু ও নারীদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা আরো জানান, দ্রবমূল্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সকল প্রকার কাপড়ের দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে এ ছাড়া দোকানভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ বেশি হওয়ায় পোশাকের দামও একটু বেশি। ব্যবসায়ীরা আরও জানান রমজানের শুরুতে বিক্রি কিছুটা কম হলেও এখন বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।

মনিরামপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, মনিরামপুরসহ আশপাশের বড় বাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক বাজারে নজরদারি রেখেছে। বিগত দুই-তিন বছর করোনার কারণে বেচাকেনা কম হয়েছে। এবার ঈদবাজারে ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে। আশা করি বেঁচাকেনা ভালো হবে।